গোপালগঞ্জে সন্ধ্যায় আসে মাইক্রোবাস, নামে যুবতীরা — কী হচ্ছে শাপলা গেস্ট হাউসে?
মোঃ তপু শেখ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি ।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে অবস্থিত ‘শাপলা গেস্টহাউস’ ঘিরে সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, হোটেলটিতে নিয়মিতভাবে অনৈতিক কার্যকলাপ চলছিল, যা স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে বিকালের দিকে এক যুবক ও এক তরুণীকে অনৈতিক অবস্থায় হোটেল কক্ষের ভেতর থেকে আটক করে এলাকাবাসী। এরপর তারা কক্ষটি তালাবদ্ধ করে রাখে এবং বিষয়টি স্থানীয় মসজিদ কমিটির মুরব্বিদের অবহিত করে। মুরব্বিরা জানান, বহুদিন ধরে হোটেলটিকে ঘিরে সন্দেহজনক কার্যক্রমের অভিযোগ শুনলেও এবার তারা হাতে-নাতে প্রমাণ পেয়েছেন।
ঘোনাপাড়ার ‘বীর প্রতীক’ লুৎফর রহমান মার্কেটে অবস্থিত এই হোটেলটির মালিক কথিত নাম সালাউদ্দিন। তাকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ 0 1753-517822 করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, “আমি বিষয়টি নিয়ে সত্যিই লজ্জিত। আপাতত হোটেলটি বন্ধ রেখেছি। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে আমি সজাগ থাকব।”
স্থানীয় একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দা জানান, “প্রতিদিন সকাল ৮টার দিকে খুলনা থেকে একটি কালো মাইক্রোবাস হোটেলের সামনে আসে। গাড়ি থেকে নামতে থাকে রঙিন পোশাকে, স্কুলব্যাগ হাতে মেয়েরা। দেখে মনে হয় কোনো স্কুল বা কোচিং সেন্টার। অথচ তারা এখানে আসে দেহ বিক্রির জন্য। সন্ধ্যার দিকে আবার সেই গাড়ি এসে তাদের নিয়ে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক। এই দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক।”
এছাড়াও গত শুক্রবার বিকাল ৪টায় গোবরা ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মুরাদ বিশ্বাস স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সাথে একত্র হয়ে প্রতিবাদ করেন। তিনি জানান, “আমাদের এলাকায় দেহ ব্যবসা, মাদক কিংবা চাঁদাবাজি কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। প্রয়োজনে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সচেতন মহল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে হোটেলটির কার্যক্রম বন্ধ ও অনৈতিক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।