১৯৯৪ সালে চৌধুরী মঞ্জুরুল ইসলামের ভিপি পদে জয়ের মাধ্যদিয়ে গোপালগঞ্জ নামক আওয়ামী দূর্গ ভাঙ্গা হয়।
মোঃ তপু শেখ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি ।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আসছে আগামী ৫ই জুলাই গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিকী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে দলটির কেন্দ্রীয় ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সম্মেলন উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলার নেতৃত্বাধিন নেতাকর্মীরা পদ-পদবির দাবি নিয়ে জাক-জমকের সহিত মাঠ দাপিয়ে দলটির কার্যক্রম চাঙ্গা করে তুলেছে।
সম্মেলন উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নব্বই দশকের মাঠ কাঁপানো ছাত্র নেতা তৎকালীন সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের (বর্তমান গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ)ছাত্র-ছাত্রী সংসদের (১৯৯৪-৯৫ বর্ষের) বিপুল ভোটে বিজয়ী ভি,পি চৌধুরী মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু।
ভি,পি মঞ্জু নামে পরিচিত এই নেতাকে দেখা যাচ্ছে মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের একমাত্র উত্তরসূরি তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও জনসাধারণ কে অভিহিত করার লক্ষ্যে গোপালগঞ্জের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের পাশে।বিগত সরকারের শাসনামলে পুলিশের ও আওয়ামী সরকারের স্বৈরচারী দোসরদের কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকা এই নেতা ছদ্মবেশে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে দলটির কার্যক্রম চালিয়েছে সে।
চৌধুরি মঞ্জুরুল ইসলাম এর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় গোপালগঞ্জ সরকারি এস,এম মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রত্ব থাকাকালীন সময় হতে। তিনি স্কুলে ছাত্রত্ব কালীন সময়ে “ছাত্রদলের মিশিল আসতেছে দেখে বিদ্যালয়ের ছুটির ঘন্টা পিটিয়ে ছাত্রদের মিছিলে নিয়ে যেতে সাহায্যও করার অপরাধে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বহুবার সাজা ভোগ করেছেন”।
তার রাজনৈতিক দক্ষতা ও নৈপূর্নতায় ১৯৯২ সালে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের শাখার সাধারণ সম্পাদক পদ অত্যন্ত দক্ষতার সহিত পালন করেন সেই সাথে তিনি তৎকালীন সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে জি এস পদে প্রতিদ্বন্দিতা করে অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ ব্যাহত হয়। ১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে তৎকালীন সরকারি বঙ্গবন্ধু (বর্তমান গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ) কলেজ শাখার ছাত্রছাত্রী সংসদের সর্বাধিক আলোচিত ভিপি হিসাবে নির্বাচিত হন,যা গোপালগঞ্জের ইতিহাসের পাতায় সবসময়েই লেখা থাকবে। ১৯৯৫ সালের ২২ শে মার্চ তার আমন্ত্রণে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠে প্রাঙ্গণে তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জনসমাবেশ করেন। এই জণসমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে অনার্স কোর্সসহ মাস্টার্স কোর্স চালু করেন। একই জনসমাবেশে গোপালগঞ্জ পল্লি বিদ্যৎ, হরিদাসপুর ব্রিজ, মোল্লার হাট ব্রীজ নির্মানের ঘোষণা দেন তিনি। ভিপি মঞ্জুর হাত ধরেই তৎকালীন গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের মসজিদ, হিন্দুদের মসজিদ, ইনডোর ও আউটডোর খেলাধুলার স্থান নির্মান সহ নানা বিধি উন্নয়ন। তার এই সব সফলতার একমাত্র কারণ তার পাশে ছিলেন তৎকালীন সময়ের বিএনপির ত্যাগী বহকরা তাদের মধ্যে অন্যতমরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি শরফুজ্জামান জাহাঙ্গির, সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান নান্টু সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান পিনু, মুশফিকুর রহমান রেন্টু, সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি মৃত: বদরুল আলম নাসিম।
১৯৯৫ সালে বর্তমান বিএনপির একমাত্র আভিবাক দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোপালগঞ্জে প্রতিনিধি সম্মেলন করে ভিপি মঞ্জুকে ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
১৯৯৫ সালেই তিনি গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কের দায়িত্ব সুনামের সহিত পালন করেন। এরপর থেকে তার উপর শুরু হয় তৎকালীন আওয়ামী সরকারের স্বৈরচারী দোসরদের নির্মম নির্যাতন।
দীর্ঘ দিন পর সেই মাঠ কাঁপানো, দাপটি ও বিপ্লবী নেতাকে মাঠে পেয়ে গোপালগঞ্জে সকল নেতা কর্মী এবং সকল শ্রেনী পেশার মানুষের মাঝে আশার আলো ফিরে এসেছে বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন। সাধারণ মানুষের পাশে থাকা চৌধুরী মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু (ভিপি মঞ্জু)কে গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করে তার যোগ্য উপহার দেওয়ার জন্য গোপালগঞ্জ জেলার সকল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আশাবাদ ব্যক্ত করছে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে চৌধুরী মঞ্জুরুল ইসলাম (ভিপি মঞ্জু)গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং এই আদর্শকে বুকে ধারণ করে দীর্ঘ ৩৫ বছর কাটিয়ে দিয়েছি, বাকী জীবন এই জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শকে ধারণ করে কাটিয়ে দিবো। আমি গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী দাবিদার। আমার দল ও দলীয় হাই কমান্ড, আমার নেতা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান যদি মনে করেন আমি এই পদের যোগ্য তাহলে আমি আশাবাদী। তার সকল সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত।