সৃজন আর্ট একাডেমির পরিচালনায়, ঘোষ বাড়ীতে পালিত হলো, চতুর্থতম রবীন্দ্র ও নজরুল সন্ধ্যা ২০২৫।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
২৪শে মে শনিবার, সন্ধ্যা ছটায়, মহিষবাথান সংলগ্ন ঘোষ বাড়ীতে, সৃজন আর্ট একাডেমির পরিচালনায় এবং সুব্রত ঘোষের উদ্যোগে, সুমনা মুখার্জী ও তনুশ্রী ঘোষের সহযোগিতায়, চতুর্থতম রবীন্দ্র ও নজরুল সন্ধ্যা উদযাপিত হলো। সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং এলাকার ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী রাজীব শূর, সঞ্চালক সুবীর হালদার, শিল্পী সুমনা মুখার্জী, চিত্রশিল্পী ও গায়ক সুব্রত ঘোষ, শিক্ষক জয়ন্ত মন্ডল, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঘোষ পরিবারের শ্রী প্রিয়তোষ ঘোষ ও শিখা ঘোষ, সৃষ্টি লেখা ঘোষ, সৃজন ঘোষ, তনুশ্রী ঘোষ, দীপ্তি ঘোষ, মৌমিতা বিশ্বাস সহ ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের অভিভাবকেরা।
অনুষ্ঠান শুরু হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে এবং একটি সমবেত কন্ঠে সংগীতের মধ্য দিয়ে।
এরপর একে একে অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন।
বৈশাখ মাস মানেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা মনে পড়ে, মনে পড়ে ২৫ শে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনের কথা, সারা দেশ জুড়ে যেমন পালিত হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের জন্ম শতবার্ষিকী ও কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম শতবার্ষিকী, তেমনি ঘোষ পরিবারে ,সৃজন আর্ট একাডেমির পরিচালনায় ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীদের, এবং এলাকার ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে সুন্দর একটি মনোময় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হলো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন। কবিতায়, গানে, নাচে , গিটারে এবং কবিগুরুর আলোচনার মধ্য দিয়ে।
ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা, তাদের নৃত্য, কবিতা, নাচ , গান ও গিটার বাজিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামকে শ্রদ্ধা জানালেন, এইরকম একটি সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠান পরিবারে সাধারণত খুব কম দেখা যায়, দীর্ঘ চার বৎসর ধরে, সৃজন আর একাডেমি এইভাবে স্মরণ করে আসছেন ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে। তাহাদেরকে উৎসাহ দিয়ে আসছেন।,এর সাথে সাথে
শিক্ষকেরাও একটি করে গান গেয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামকে স্মরণ করলেন।
সৃজন আর্ট একাডেমির পরিচালনায় সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় অভিভাবকেরা খুশি, তাহার সাথে সাথে সৃজন আর্ট একাডেমি ও ঘোষ পরিবার কৃতজ্ঞ, সকলের সহযোগিতায় সান্ধ্যকালীন এই অনুষ্ঠান সুন্দরময় করে তোলার জন্য, তাহারা বলেন আমরা সারা বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকি কিন্তু এই অনুষ্ঠানটি আমাদের কাছে একটু অন্যরকম, কারণ ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে অনুষ্ঠান করাটা, একটা আলাদা ভাবনা এনে দেয়, ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের এগিয়ে চলার পথ দেখায়, মনের সাহস যোগায়। এবং শেখার আগ্রহ বাড়ায়, তাই সকল ছোট ছোট ছেলে মেয়ে ও তাদের অভিভাবকদের একসাথে পেয়ে আমরা খুশি।