যশোর -কেন্দ্রীয়-কারাগারে-ইব্রাহিমের-মুক্তির-আদেশ-আসতে-সময়-লেগেছে-৮-বছর
উচ্চ আদালত দেন খালাস
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ইব্রাহিমের মুক্তির আদেশ আসতে সময় লেগেছে ৮ বছর
যশোরের সমাজ নিউজ
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ইব্রাহিমের মুক্তির আদেশ আসতে সময় লেগেছে ৮ বছর ছবি:
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার ইব্রাহিম আলী শেখ সাগর। উচ্চ আদালত তাকে ৮ বছর আগে মুক্তির নির্দেশ দেন। তবে সেই আদেশনামা যশোর কারাগারে পৌঁছাতে সময় লেগেছে টানা ৮ বছর। অবশেষে মুক্তি মিলেছে তার। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো.মোতাহের হোসেন।
ইব্রাহিম খালাসের আদেশ পেলেও কারাগারে রিলিজ অর্ডার (মুক্তির আদেশ) না আসায় মুক্তি পাননি। অবশেষে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার নুরশেদ আহমেদ ভূঁইয়া ও জেলার মো. শরিফুল আলমের প্রচেষ্টায় ৮ বছর কারাভোগের পর তার মুক্তি মিলেছে।
২০০৩ সালের একটি হত্যা মামলায় আদালত ইব্রাহিমকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। পরে মামলাটি উচ্চ আদালতে গেলে ২০১৭ সালে খালাস পান তিনি। কিন্তু কারাগারে তার মুক্তির আদেশ পৌঁছায়নি। ফলে ৮ বছর কারাভোগ করতে হয়েছে তাকে।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বিষয়টি নজরে আসে। এরপর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার বিষয়টি যাচাই-বাছাই করেন। তিনি নিজ উদ্যোগে ও আদালতের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তির আদেশ সংগ্রহ করেন। এরপর গত ৪ ফেব্রুয়ারি তার মুক্তির আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এরপর যাবতীয় যাচাই-বাছাই শেষে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে শনিবার মুক্তি পান। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেনের বলেন, অধিদপ্তরে আমি নতুন এসেছি। যেখানে যে সমস্যা আছে, সব সমাধানের চেষ্টা করছি। আমরা বন্দিদের নিয়েই কাজ করে আসছি। তাদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয় সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি এ ঘটনায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার নুরশেদ আহমেদ ভূঁইয়া ও জেলার মো. শরিফুল আলমকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তাদের পুরস্কৃত করারও ঘোষণা দেন।