যশোরে শিক্ষক সমিতির নেতাদের নেতৃত্বে ঢাকায় সরকার পতনের ছক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
৫ই আগস্টে ছাত্র জানতার দুর্বার আন্দোলনের ফলে পালিয়ে যায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার ও তার দোসরা।
এরপর ছাত্র জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নোবেল জয়ী ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তবর্তী কালীন সরকার।
পরপরই পতিত সরকার প্রতিবেশী দেশ থেকে নানা কৌশলে এ সরকারকে অকার্যকর করার অচেষ্টা করতে থাকে। পলাতক নেতাদের প্রেসক্রিপশনে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীদের দিয়ে কখনো আনসারের ঘাড়ে ভর দিয়ে, কখনো বা শ্রমিকদের, আবার কখনো রিক্সা চালক ও ইজিবাইক চালকদের উপর ভর করে, আবার কখনো শিক্ষকদের উপর ভর করে কথিত আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে সরকারকে অকার্যকর করার নানা কুটকৌশলে করে যাচ্ছে। তবে সব পরিস্থিতি সামলে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এ অন্তবর্তী কালীন সরকারের ভাবমূর্তি দিন দিন উজ্জ্বল হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পতিত সরকার আমলে যশোরের কয়েকজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতা বাঘারপাড়ার পাইকপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি তরুণ কুমার সাহার সাথে নিবিড় ভাবে যোগাযোগ রয়েছে। তাকে সামনে রেখে কৌশলে শিক্ষকদের দলে ভিড়াচ্ছেন। বিভিন্ন দাবী দাওয়ার নামে সরকার পতনের ফাঁদে আটছে পলাতক নেতারা। ইতিমধ্যে ঢাকায় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষকদের নিয়ে আন্দোলনের সব ধরনের কৌশল তৈরি করেছে বাঘারপাড়ার পাইকপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি তরুণ কুমার সাহা। তার নেতৃত্বে ঢাকায় সরকার পতনের জোর তৎপরতা চলছে। তার সাথে সার্বিকভাবে সহযোগিতায় রয়েছে জামদিয়ে ইউনিয়নের বরভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ও নারকেল বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিকরা জানতে পারেন আন্দোলনের বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে বাঘারপাড়া শিক্ষক সমিতির সভাপতি তরুণ কুমার সাহার নেতৃত্বে জামিদিয়া ইউনিয়নের বরভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ও নারকেল বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেনসহ কয়েকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারের দপ্তরের এসেছেন। এ সময় সাংবাদিক সেখানে গেলে তারা সাংবাদিকের উপস্থিত বুঝতে পেরে সাংবাদিকের সঙ্গে রুড় আচরণ করেন এবং তার ধারণকৃত ছবি জোর করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মুছে দিতে উদ্যত হন।
স্থানীয় একাধিক সাংবাদিক জানিয়েছেন, শিক্ষক তরুণ কুমার সাহা বিগত সরকারের আমলে সরকারের নানা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। সে অধিকাংশ সময়ে স্কুলে হাজির থাকেন না। এমনকি শ্রেণীকক্ষে পাঠ দানও করেন না। ফ্যাসিবাদ সরকার পতনের পর তিনি অন্তবর্তী সরকারকে বিতর্কিত করার জন্য নানা ধরনের কলা কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে বাঘারপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন কুমার সরকারের মুঠো ফোনে কয়েক দফায় সংযোগ দিলেও তিনি তার ফোনটা রিসিভ করেননি। পরে তার ফোনে খুদে বার্তা দিয়ে রিসিভ করার জন্য অনুরোধ করা হয়। এ সময়ে খুদেবার্তায় তার কাছে জানতে যাওয়া হয় আপনার এলাকার শিক্ষকরা ঢাকায় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন । আপনি জানেন কিনা? প্রশ্নের উত্তরে তিনি লেখেন একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। তবে কোন ধরনের আন্দোলন না করার জন্য তাকে সতর্ক করে দিয়েছি বলে তিনি জানান। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ হবে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তার কাছ থেকে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।