গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা মাহবুব আলী সোহেলকে উদ্দেশ্যমূলক গ্রেফতারের অভিযোগ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা এবং গোপালগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ৮ নং ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর মাহবুব আলী সোহেলকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। গত বুধবার সন্ধ্যার আগে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির মো: সাজেদুর রহমান জেলা শহরের মোহাম্মদপাড়াv নিজ কার্যালয় থেকে মাহবুব আলী সোহেলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান।
তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা অভিযোগ সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে, পুলিশের একটি সূত্র মারফত জানা গেছে গোপালগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এম.মাহবুব আলী সোহেলকে ডিটেনশন আইনের আওতায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। একই রূপে তার ভাতিজা জেলা যুবদল নেতা মো: ইফতেখার ইফতি আলিকেও ডিটেনশন আইনে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে বলে জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন। মাহাবুব আলী সোহেল গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম মনসুর আলীর ছেলে।
তিনি ছাত্রত্ব থাকালীন সময় থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি সাবেক ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা কলেজ),সাবেক পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, গোপালগঞ্জ পৌরসভার বারবার নির্বাচিত, বিএনপি করার দায়ে কাউন্সিলরের চেয়ারে বসতে না পারা ও বার বার কারা বরণকারী নেতা, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম এম, মনসুর আলীর ছেলে মাহাবুব আলী সেহেল। তাকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কয়েকদিন আগেও বিনা মামলায় আটক করেন তৎকালীন সরকারের পালিত পুলিশ বাহিনী। বিগত সরকারের শাসন আমলে গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি চিহ্নিত কয়েকটি নেতা-কর্মীদের বাড়ি লুট করে নিয়ে যায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তার মধ্যে সোহেলের পরিবারটি সবার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যা গোপালগঞ্জ বাসীর অজানা নয়।
এ ব্যপারে গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকুজ্জামান বলেন মাহবুব আলী সোহেল বিএনপির পরীক্ষিত নেতা। তাকে গ্রেফতার করায় গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়। আমরা মাহবুব আলী সোহেল ও তার ভাতিজা মো: ইফতেখার আলী ইফতির মুক্তি চাই। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের এভাবে বিনা বিচারে আটক রাখা ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির অপর একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার ৫ জুলাই জেলা বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। সম্মেলনকে ঘিরে কেন্দ্রীয় এক নেতার বিরাগভাজন হওয়ায় মাহবুব আলী সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ব্যপারটি গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির মো: সাজেদুর রহমানকে গোপালগঞ্জের সাংবাদিকরা জেলা বিএনপি নেতা সোহেলকে গ্রেফতারের কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, বিএনপি নেতা মাহবুব আলী সোহেলকে ডিটেনশন আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে।