কেশবপুরের কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিশ্বনাথ আইচ ষড়যন্ত্রের শিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
কেশবপুর উপজেলার কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিশ্বনাথ আইচ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কাঁকবাধাল গ্রামের নিজ বাড়িতে কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক বিশ্বনাথ আইচের স্ত্রী মিতা রানী দে সাংবাদিকদের বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা নাটোরের লালপুরে পিকনিক করতে যায়। পিকনিক হতে ফিরতে বেশ রাত হওয়ায় আমার স্বামী উপর সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বাড়ি পৌছিয়ে দেওয়া দায়িত্ব পড়ে। বিষয়টি জানিয়ে আমার স্বামী আমাকে ফোন করে ডেকে নেয়। আমরা দুইজন মিলেই ওই মেয়েটিকে তার বাড়িতে পৌঁছিয়ে দেই। পরবর্তীতে সোমবার সকালে আমাদের বাড়িতে কতিপয় ব্যক্তি অনধিকার প্রবেশ করে ওই মেয়েটিকে আমার স্বামী ধর্ষণ করেছে বলে
আমাকে ও আমার স্বামীকে মারপিট শুরু করে এবং আমার শ্লীলতাহানি করে। এসময় তারা আমাদের নিকট মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যেতে চায়। আমি বলি আমি নিজে ও আমার স্বামী মেয়েটিকে বাড়িতে পৌঁছিয়ে দিয়েছিলাম। ধর্ষণের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। পরে তারা বলে ধর্ষণ না মেয়েটিকে শীলতা হানি ঘটানো হয়েছে। ৫/১০ লক্ষ টাকা দিলে তারা বিষয়টি সমাধান করে দেবে বলে হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায়।
মিতা রাণী দে আরো বলেন, তার স্বামী কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিশ্বনাথ আইচ একজন নিরীহ প্রকৃতির লোক। একটি কুচক্রী মহল তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। মোটা অংকের চাঁদা নিতে চায়। বর্তমানে তার স্বামী প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।কেশবপুরের কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক বিশ্বনাথ আইচকে নির্দোষ দাবি করলেন তাঁর স্ত্রী মিতা রাণী দে।