কুয়েটের শিক্ষার্থীদের একদফা দাবি এবং অনশন আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যশোর জেলা শাখার মানববন্ধন করেছে
বনি বিল্লাহ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা বর্তমান উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছেন। সর্বশেষ, ২১ এপ্রিল থেকে তারা আমরণ অনশনে বসেছেন। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের মুখেও প্রশাসন দমনমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সর্বশেষ জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়, যা শিক্ষার পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, খুলনা জেলা শাখা মনে করে, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন কেবল একজন উপাচার্যের পদত্যাগ নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতা, বৈষম্য, এবং শিক্ষার্থীবিরোধী মনোভাবের বিরুদ্ধে একটি ন্যায্য প্রতিবাদ।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারী কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনায় প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয় এবং ব্যর্থতার দায় সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করে। প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী সেদিন আহত হয়। কুয়েট প্রশাসন প্রায় দুই মাস জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়ে হলগুলো বন্ধ রাখে। এতদিনে হামলাকারীদের বিচার না করে উল্টো শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। ১ দফা দাবির ৫ম দিনেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়াই গত ২১ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা আমরন অনশন শুরু করেছে। ইতিমধ্যে অন্তত ২ শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ২১ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা আমরন র
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যশোর জেলা শাখা কুয়েটের শিক্ষার্থীদের একদফা দাবি এবং অনশন আন্দোলনের সাথে সংহতি জানাচ্ছে। বিলম্বে কুয়েটের ভিসির পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি আমরণ অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও চিকিৎসা নিশ্চিতে প্রশাসনকে দায়িত্ব নিতে হবে। দমনমূলক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাতিল করে একটি স্বচ্ছ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যশোর জেলা সর্বদাই কুয়েটের পাশে আছে।
বক্তব্য রাখেনঃ
সায়েদ মোহাম্মদ রিজভী- যুগ্ম আহ্বায়ক
বি এম আকাশ- যুগ্ম আহ্বায়ক
হাবিব আহমেদ শান- যুগ্ম আহ্বায়ক
মোঃ ইমন হোসেন হৃদয়- ছাত্র প্রতিদিন, সদর উপজেলা