ইউনাইটেড বদ্ধিস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে, ২৫৬৯ তম পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা উৎসব পালিত হলো।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ। ১১ই মে রবিবার ঠিক সকাল দশটায়, কলকাতার রানী রাসমণি রোডের সংযোগস্থলে, ইউনাইটেড বদ্ধিস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ও পশ্চিমবঙ্গের সম্মিলিত বৌদ্ধ সংগঠন সমূহের উদ্যোগে, ২৫৬৯ তম পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা উৎসব , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মাতৃ দিবস পালিত হলো ।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পৌরসভার আইএমসি বৈশ্ব্যানর চট্টোপাধ্যায়, নাদিম হক, ফুটবল খেলোয়াড় বিকাশ পাঁজি ও শ্যাম থাপ্পা, সঞ্জয় বক্সি , সংস্থার সেক্রেটারী অরুণ চন্দ্র বড়ুয়া, জেনারেল সেক্রেটারী সুদীপ বড়ুয়া, উপস্থিত ছিলেন সভাপতি শ্যামলেন্দু বড়ুয়া সহ সমাজসেবী থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলার সম্মানীয় অতিথিরা ও শিল্পীরা।
একে একে অতিথিরা মঞ্চে বুদ্ধদেবের মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এরপর অতিথীদের একে একে উত্তরীও ব্যাচ পরিয়ে,তাহাদের হাতে স্মারক তুলে দেন, আজ এই মঞ্চ থেকেই মাতৃ দিবস পালিত হয় বহু ছোট ছোট শিশু শিল্পী আজকের মাতৃ দিবস উপলক্ষে মঞ্চে উপস্থিত হন এবং তাদের নৃত্যে মঞ্চ সুন্দরময় হয়ে ওঠে। নৃত্যের মধ্য দিয়েও সকলে বৌদ্ধ কে স্মরণ করেন। এরপর নিত্য শিল্পীদের হাতে সংস্থার কর্ণধার উত্তরীয় পরিয়ে একটি করে বৌদ্ধ মূর্তি ও স্মারক তুলে দেন, এই সম্মান পেয়ে শিল্পীরা আনন্দিত ও মুগ্ধ, শুধু তাই নয়, দূর দূরান্ত থেকে যে সকল সদস্যরা উপস্থিত হয়েছিলেন তাহারাও এই ধরনের অনুষ্ঠানকে সাধুবাদ জানান। আরো এগিয়ে চলার সংকল্প নেন।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সংস্কার কর্ণধার থেকে শুরু করে অতিথিরা বলেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সর্ব ধর্মের পাশে থেকে , সর্বধর্মকে এক করার চেষ্টা করছেন আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই, সবার সহযোগিতা নিয়েই এরকম একটি অনুষ্ঠান প্রতিবছর করতে পারি, শুধু তাই নয় আমরা সারা বছর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকি, কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদেরই কয়েকটি সংস্থা ,তাহারা আলাদা হয়ে সংগঠন চালাচ্ছেন, আমাদের কাছে একটা লজ্জা কর ব্যাপার, আমরা চাই সব সময় একত্রিত ভাবে কাজ করতে, আমরা সাধারণ পরিবারের ছেলে-মেয়েদের পাশেও থেকে থাকি, বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর চেষ্টা করি, এমনকি যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের সাথে যদি তাহারা যোগাযোগ করেন আমরা অবশ্যই তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি, এছাড়াও আমরা স্কুলের ছেলেমেয়েদের স্কলারশিপ এর ও ব্যবস্থা করে থাকি।
এর সাথে সাথে বৈশ্ব্যানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি প্রথম থেকেই এনাদের সাথে যুক্ত, এনাদের কাজকর্ম আমাকে আপ্লুত করে, যেভাবে এনারা সবার পাশে দাঁড়ান সত্যি সেটা অনেক বড় গুরু দায়িত্ব, আর সবার পাশে আছে বলেই, সবার মাথায় বুদ্ধদেবের আশীর্বাদ রয়েছে বলেই এত গরমে ও দূর দুরান্ত থেকে মানুষ না রানী রাসমণি রোডে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন। এবং সব থেকে ভালো লাগে, এত গরমেও একজন সদস্য চেয়ার ছেড়ে উঠে যান নি, আমি এনাদের পাশে আছি, থাকবো। বুদ্ধের বাণী আরো বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়ুক। তোমার কণ্ঠে বুদ্ধের বাণী ধ্বনিত হোক।